🎀 রাজ্যে বাজেটে ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। আর তারপরই ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে প্রথম রিভিউ বৈঠকে করেন সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া, পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী শিউলি সাহা, ঘাটালের সাংসদ দীপক অধিকারী, জেলাশাসক খুরশেদ আলি কাদরি, পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার, মহকুমাশাসক সুমন বিশ্বাস–সহ অন্যান্যরা। ঘাটাল টাউন হলে এই বৈঠকের পর দেব জানান, ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়িত করতে শুধুমাত্র রাজ্য সরকার নয়, ঘাটালের প্রত্যেকটি মানুষের পাশাপাশি সব রাজনৈতিক দলেরও সহযোগিতা লাগবে। আর তারই মধ্যে খবর, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের করতে বাজার মূল্যের চেয়ে দেড় থেকে দু’গুণ বেশি দামে জমি কিনবে রাজ্য সরকার।
✱আর এই জমি কেনার ক্ষেত্রে মালিকের ইচ্ছাই একমাত্র শর্ত বলে ধরা হচ্ছে। তাই সেই ইচ্ছা আদায় করতে ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান প্রকল্প নিয়ে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া লিফলেট তৈরি করা হয়েছে। আর ওই লিফলেট নিয়ে জমির মালিকের বাড়ি পৌঁছে যাবেন সাব মনিটারিং কমিটির সদস্যরা। কেন রাজ্য সরকার জমি কিনছে? এই প্রশ্নের উত্তর তাঁরা দেবেন। এমনকী সেই জমি কী কাজে ব্যবহার হবে এবং তাতে বিপুল মানুষের যে উপকার হবে সেটা বোঝানো হবে। ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের শিলান্যাস করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কাছে তারিখ চাওয়া হবে। ওই তারিখেই শিল্যান্যাস হবে। এই বিষয়ে সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া বলেন, ‘আমরা শিগগিরই কাজ শুরু করতে চাই। তাই এই বৈঠক হয়েছে।’
আরও পড়ুন: নীরব বিধায়করা এবার সরব হলেন বিধানসভায়, মুখ্যমন্ত্রী কড়কে দিতেই আমূল বদল
এদিকে ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান প্রকল্পের জন্য গঠিত হয়েছে ডিস্ট্রিক এবং সাব লেবেল মনিটারিং কমিটি। তাদের বৈঠকও হয়। বাজেটে টাকা বরাদ্দের পর এই বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ওই বৈঠকের পর সেচমন্ত্রী জানান, বাজার মূল্যের চেয়ে বেশি দামে জমি কিনবে রাজ্য সরকার।ಞ বাজারের তুলনায় দেড় থেকে দু’গুণ বেশি দামে কেনা হবে জমি। মুখ্যমন্ত্রী সময় দিলেই শিলান্যাসের দিন ঘোষণা হয়ে যাবে। সাব কমিটির সদস্যরা মাঠে নেমে কাজ করবেন। ঘাটালের এলাকার মানুষদের পাশে থাকার আর্জি জানানো হয়েছে। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান রূপায়ণের কথা জানান। ঘাটালের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী দীপক অধিকারী ওরফে দেবের সমর্থনে রোড শোয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, দেব ঘাটাল থেকে তৃতীয়বার জয়ী হয়ে সাংসদ হলে রাজ্য সরকার নিজের কোষাগার থেকে অর্থ দিয়ে ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান করবে। আর তৃতীয়বারের জন্য সংসদে হতেই ২০২৫ সালের বাজেটে ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়।
অন্যদিকে জমি নিয়ে যাবতীয় জটিলতা কাটাতে সরকারি অবস্থান কী সেটা সাব কমিটির সদস্যদের সামনে বিস্তারিত তুলে ধরেন সেচমন্ত্রী–সহ প্রশাসনিক কর্তারা। কোথায় কত পরিমাণ জমি লাগবে সেটার একটা প্রাথমিক ধারণা দেওয়া হয়। তাই গ্রামীম মানুষজনকে বোঝাতে পুরোদমে মাঠে নেমে কাজ করার কথাও জানিয়ে দেওয়া হয় ওই বৈঠকে। এই বৈঠকের পর দেব বলেন,🐠 ‘লোকসভা ভোটের আগে আমি মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছিলাম, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান যদি তৈরি হয় তাহলেই ভোটে দাঁড়াব। মুখ্যমন্ত্রী ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন। দীর্ঘদিন ধরে অনেক রাজনৈতিক দলের সরকার এবং অনেক এমপি চেষ্টা করেছেন। কিন্তু হয়নি। আমি এবং আমার দল তথা রাজ্য সরকার চেষ্টা করেছি। এই জয় শুধু সরকারের নয়, ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত সাধারণ মানুষ এবং যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে মাস্টার প্ল্যান রূপায়ণের জন্য আন্দোলন করেছিলেন, তাঁদের জয়। এবার কীভাবে জমি নিয়ে রূপায়ণ করা যাবে সে বিষয়েই বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরেই প্রকল্পের সূচনা হবে।’