বিধ্বংসী আগুন লাগে হাবড়া থানায়। আর তার জেরে ভস্মীভূত হয়ে গেল হাবড়া থানার ভিসেরা রিপোর্ট রুম। উত্তর ২৪ পরগনা জুড়ে এখন এই আলোচনা তুঙ্গে উঠেছে। এই ঘটনায় তুমুল আলোড়ন ছড়িয়ে পড়েছে। থানায় আগুন লাগল কেমন করে? এই প্রশ্নই এখন তুলছেন অনেকে। তবে দমকল কর্মীরা তড়িঘড়ি আগুন নিয়ন্ত্রণ আনতে সক্ষম হয়েছেন। তা না হলে থানার আরও তিনটি অফিস পুড়ে ছাই হয়ে যেত। বুধবার দুপুরে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আতঙ্ক তৈরি হয়েছিল। এই ক্ষতি হাবড়া থানা কেমন করে পুনরুদ্ধার করে সেটাই ভাবার বিষয়।
এদিকে দমকল সূত্রে খবর, আজ দুপুরে হাবড়া থানার পুরনো ভবনে হঠাৎই আগুন লেগে যায়। আর সেই আগুন মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে। আগুনের লেলিহান শিখা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছিল। দাউ দাউ করে জ্বলতে শুরু করে থানার পুরনো ব্যারাক এবং ভিসেরা অফিস রুম। এই ঘটনাই পুলিশ অফিসারদের চাপে ফেলে দিয়েছিল। কারণ এই থানার পাশেই রয়েছে হাবড়ার সার্কেল ইন্সপেক্টর এবং ট্রাফিক গার্ডের অফিস। তার পাশেই রয়েছে ডিআইবি অফিস। ওইসব জায়গায় যাতে আগুন পৌঁছতে না পারে তার জন্য পুলিশ অফিসাররা দমকলের কাছে কাকুতি–মিনতি করতে থাকেন। আগুনের ভয়াবহতাই এই আতঙ্কের সৃষ্টি করেছিল।
আরও পড়ুন: আবার খুলতে চলেছে নেওড়াভ্যালি জাতীয় উদ্যানের প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র, কাটল এক দশক
অন্যদিকে দমকল এসেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। এই আগুন নেভাতে বেশ বেগ পেতে হয় দমকল কর্মীদের। কারণ আগুন ছড়িয়ে পড়ছিল। আবার কেমন করে আগুন লেগেছে সেটাও বোঝা যাচ্ছিল না। তবে দমকলের প্রচেষ্টায় আধ ঘণ্টার মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আসা যায়। যদিও যা ক্ষতি হয়েছে তা উদ্ধার করা বেশ কঠিন। হাবড়া থানার এই পুরনো ভবনে আগে পুলিশ কনস্টেবলদের ব্যারাক ছিল। পুরনো ওই ভবন প্রায় ১০০ বছর আগে নির্মাণ হয়েছিল।
এছাড়া ২০২০ সালে থানার নতুন ভবন নির্মাণ হয়। তাই পুরনো ভবনে শুধুমাত্র ভিসেরা অফিসই রয়েছে। হাবড়া দমকল কেন্দ্রের অফিসার প্রদীপ দাস এই অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে বলেন, ‘আগুনের খবর পাওয়া মাত্রই আমরা ঘটনাস্থলে আসি। থানার মালখানা এবং ভিসেরা রুমে মূলত আগুন লেগেছিল। সম্ভবত বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট থেকে এই আগুন লাগার ঘটনাটি ঘটেছে। আধ ঘণ্টার মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা গিয়েছে। যদিও হতাহতের কোনও খবর নেই।’