'ওয়াকফ সংশোধনী বিল মুসলমানদের তাদের ধর্মীয় দায়িত্ব পালনের অধিকার লঙ্ঘন করবে।' আজ সংসদে দাঁড়িয়ে এমনই দাবি করলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ তৃণমূলেপ পক্ষ থেকে সরকারের উপস্থাপিত ওয়াকফ সংশোধনী বিলের বিরোধিতা করেন কল্যাণ। সেখানে তিনি ওয়াকফ সংশোধনী বিলকে সংবিধান বিরোধী বলে দাবি করেন। (আরও পড়ুন: ভারতে ওয়াকফের অধীনে কতটুকু জ𝓡মি আছে? সেই সব🍌 সম্পত্তির দাম কত?)
আরও পড়ুন: ꦯপড়শি দেশের জমি ভারতে নিয়ে আসতে প্রস্তা🎐বনা পাশ বিধানসভায়! পক্ষে ভোট বিরোধীদেরও
লোকসভায় কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় আজ বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের নেতৃত্বে আমি বলতে চাই, তৃণমূল কংগ্রেস এই ওয়াকফ সংশোধী বিলের বিরোধিতা করছে। আমার বক্তব্যের মূল স্পিরিট হল - তু না হিন্দু বনেগা, না মুসলমান বনেগা, ইনসানকি অউলাদ হ্যায়, ইনসান বনেগা (না হিন্দু হবেন, না মুসলিম হবেন। মানুষের সন্তান, মানুষ হতে হবে)। বর্তমানের এই বিলটি ওয়াকফের দু'টি বিষয়ের ওপর নজর দেয়। ওয়াকফের একটি কাজ হল মুসলিমদের ধর্মীয় আচার-বিচারের পরিচালনা করা, এবং দ্বিতীয় হল রাজ্য সরকারকে ওয়াকফ সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ মেটানোর অধিকার দেওয়া।' (আরও পড়ুন: একের পর এক জঙ্গিকে জেল থেকে ছেড়ে ইউনুসে🃏র বাংলাদেশ বলল - 'জঙ্গি সমস্যা বাড়🦩েনি')
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি♛ উগ্রপন্থা নিয়ে বড় দাব🌊ি ভারত ভাগ করতে চাওয়া উপদেষ্টার- হার্ডলাইনে যাব…
এরপর সংবিধানের ২৬ নং ধারার উল্লেখ করে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, 'ওয়াকফ ধর্মীয় এবং দাতব্য এটি প্রতিষ্ঠান। এই আবহে মুসলিমদের নিজেদের ধর্মীয় বিষয় পরিচালনা করার অধিকার রয়েছে। কারণ ওয়াকফ সম্পত্তির মালিক আল্লাহ। এই বিল মুসলিমদের অধিকার খর্ব করছে। তাই এটা সংবিধানের ২৬ নং ধারাকে লঙ্ঘন করছে।' তিনি দাবি করেন, হিন্দু আইন ব্রিটিশ আইনকে অনুসরণ করে, এবং মুসলিম আইন মহানবির আইন অনুসরণ করে। এদিকে কল্যাণ আজ বলেন, 'ইসলাম অত্যন্ত আধুনিক ও উদারনৈতিক ধর্ম। নমাজের জন্য কাউকে মসজিদে প্রবেশ করতে বারণ করা হয় না।' এদিকে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, ওয়াকফ আইনের ৪০ নং ধারা তুলে দিলে ওয়াকফ বোর্ড রাখারও দরকার নেই। উল্লেখ্য, ওয়াকফের ৪০ নং ধারা অনুযায়ী, বোর্ড যেকোনও জমিকে ওয়াকফ সম্পত্তি ঘোষণ করতে পারে। (আরও পড়ুন: ‘বিশ্বের সবচেয়ে ব𒆙েশি ওয়াকফ সম্পত্তি রয়েছে ভারতে,তাও দেশের মুসলিমরা গরিব কেন?’)
আরও পড়ুন: ওয়া✅কফ বিলের সমর্থনে পথে মুসলিম মহিলারা, উঠল🧜 'মোদী জিন্দাবাদ' স্লোগান
কল্যাণ বলেন, ‘এই বিলের উদ্দেশ্যই হল মুসলিমদের সেই অধিকার খর্ব করা, তাদের ধর্মীয় কর্তব্য পালনে হস্তক্ষেপ করা। এটা সংবিওধানের ২৬ ধারার সরাসরি লঙ্ঘন। ২৪৬ ধারার সাব ১ নಌং উপধারার অধীনে সংসদের আইন প্রণয়নের ক্ষমতা রয়েছে। উপধারা ৩-র অধীনে রাজ্যেরও ক্ষমতা রয়েছে আইন প্রণয়নের। রাজ্যের অধীনে থাকা ওয়াকফ জমি নিয়ন্ত্রণের অধিকার একমাত্র রাজ্যেরই রয়েছে। কেন্দ্র এই সংশোধনীর মাধ্যমে ওয়াকফ সম্পত্তিতে রাজ্যের অধিকার খর্ব করতে চাইছে। রাজ্যের অধিকার খর্ব করতে চাইছে। এটা সম্পূর্ণ সংবিধান বিরোধী। রাজ্যের ক্ষমতা এভাবে কেড়ে নেওয়া যায় না।’
আরও পড়ুন: 'সংসদ ভবনও ওয়াকফ সম্পত্🔯তি...', বিরোধীদের তোপ মন্ত্রী কিরেন রিজিজুর
এদিকে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, কোনও ব্যক্তি হিন্দু হোক কি মুসলিম হোক, তিনি যেন ওয়াকফ বা যেকোনও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে নিজের সম্পত্তি দান করতে পারেন। উল্লেখ্য, নায় বিলে বলা হয়েছে, ওয়াকফে দান করতে হলে একজন ব্যক্তিকে অন্তত পাঁচ বছর ইসলাম ধর্ম পালন করতে হবে। এই আবহে কল্যাণ বলেন, 'কেউ পাঁচবছর মুসলিম ধর্ম পালনের পরই ওয়াকফে দান করতে পারবেন, এই বিধান কেন থাকবে?' তাঁর অভিযোগ এই বিধান সংবিধান বিরোধী। তাঁর কথায়, 'কেউ ধর্মীয় আচার পালন করছে কি না, তা তার ব্যক্তিগত বিষয়। সেটা নিয়ে প্রশ্ন করার অধিকার কীভাবে দেওয়া যেতে পারে? পুরী বা কꦉোনও হিন্দু মন্দিরে কি এমন হয় যে পাঁচবছর হিন্দু থাকলে তবেই সম্পত্তি দান করা যাবে? আমি হিন্দু মন্দিরে দান করতে পারি, আমি সব জায়গায় দান করতে পারি। আমি মুসলিম সম্পত্তিতে দান করতে পারি, আমি খ্রিস্টান সম্পত্তিতে দান করতে পারি। আমি বৌদ্ধ সম্পত্তিতে দান করতে পারি। আমাকে কীভাবে কোনও আইন নিয়ন্ত্রণ করতে পারে?' তাঁর অভিযোগ, এই ওয়াকফ সংশোধনী বিল সংবিধানের ১৪ নং ধারাকে লঙ্ঘন করে।