যাত্রাপথের মাঝেই দূরপাল্লার একটি ট্রেন থেকে উধাও হয়ে গেলেন এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। অথচ, সঙ্গে সঙ্গে তা চোখেই পড়ল না তাঁর সঙ্গে থাকা, কিংবা রেলের নিরাপত্তারক্ষীদের! কিছুক্ষণ পর যখন বিষয়টি নজরে এল, তারপরই শুরু হল খোঁজ। প্রায় ৩ ঘণ্টা পর জানা গেল মন্ত্রীকে পাওয়া গিয়েছে অন্য একটি ট্রেনের বার্থে - আহত অবস্থায়!
যাঁর সঙ্গে এই চরম অনভিপ্রেত ঘটনাটি ঘটেছে, তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, তথা প্রবীণ সাংসদ জুয়েল ওরাওঁ। জানা গিয়েছে, গত শনিবার রাতে (৩ মে, ২০২৫) রাতে গন্ডোয়ানা এক্সপ্রেসে দিল্লি থেকে মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুর রওনা দেন তিনি। ট্রেনে চড়েন হজরত নিজামউদ্দিন স্টেশন থেকে। গিয়ে বসেন নিজের নির্ধারিত আসনে।
এরপর রবিবার (৪ মে, ২০২৫) ভোরে ট্রেন দামোহ স্টেশন ছেড়ে ঠিক বেরিয়ে যাওয়ার পরই দেখা যায়, সেই আসন খালি! এমনকী মন্ত্রীকে গোটা ট্রেনে কোথাও খুঁজে পাওয়া যায় না! সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় তল্লাশি। এমনকী, সংশ্লিষ্ট পথে রেললাইন ধরেও খোঁজ চালানো হয়। কার্যত দিশেহারা অবস্থা হয় রেল কর্তৃপক্ষ ও রেলপুলিশের। প্রায় ৩ ঘণ্টা এভাবে কাটার পর জানা যায়, জুয়েলের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে!
খবর আসে, প্রায় ১৬২ কিলোমিটার দূরে মধ্যপ্রদেশের সিহোরা স্টেশনে সম্পর্কক্রান্তি এক্সপ্রেসের বি৩ কোচের ৫৭ নম্বর বার্থে পাওয়া গিয়েছে জুয়েল ওরাওঁকে। কিন্তু, তিনি আহত!
পরবর্তীতে সিহোরার আরপিএফ আধিকারিক রাজীব খরব একটি অনলাইন সংবাদমাধ্যমকে জানান, রবিবার ভোরে (৪ মে, ২০২৫ - ভোর ৩টে ৪৫ মিনিট নাগাদ) মধ্যপ্রদেশের দামোহ স্টেশনে কিছুক্ষণের জন্য থেমেছিল গন্ডোয়ানা এক্সপ্রেস। সেই সময় মন্ত্রী অনুভব করেন, তাঁর শরীরে শর্করার মাত্রা কমতে শুরু করেছে। তাই, কিছু খাবার খাওয়ার জন্য ট্রেন থেকে প্ল্যাটফর্মে নামেন তিনি।
কিন্তু, প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ট্রেন ছেড়ে দেয়। প্রায় ৬৪ বছরের জুয়েল ওরাওঁ সেই সময় দৌড়ে চলন্ত ট্রেনে ওঠার চেষ্টা করেন। কিন্তু, ব্যর্থ হন এবং পা পিছলে প্ল্যাটফর্মেই পড়ে যান! তাতেই তিনি চোট পান। সেই সময়ে ওই একই স্টেশনে অন্য একটি প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে ছিল সম্পর্কক্রান্তি এক্সপ্রেস। মন্ত্রীমশাই সেই ট্রেনেই উঠে পড়েন।
পরে গোটা ঘটনা জানাজানি হয়। মন্ত্রীকে ট্রেন থেকে নামিয়ে জব্বলপুর সার্কিট হাউসে নিয়ে যাওয়া হয়। রেলের পক্ষ থেকেই তাঁকে সেখানে পৌঁছে দেওয়া হয় এবং তাঁর চিকিৎসারও ব্যবস্থা করা হয়।ে